দেশজুড়ে

নাগেশ্বরীতে প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!

রুবেল আহমেদ, কুড়িগ্রাম:

নাগেশ্বরীতে সাপখাওয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণির অবহেলার কারণে তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন জন এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারনে ৩০এপ্রিল (রবিবার) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে এসব পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা জানান, ৯ম শ্রেণীতে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় রেজাউল করিম, জাহেদা খাতুন ও রেজাউল করিম নামের পরীক্ষার্থীরা মানবিক বিভাগের রেজিষ্ট্রেশন করার টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেয়। বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাসে পাঠদানও করে। চলতি এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম-ফিলাপের টাকাও জমা নেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনি। ২৮এপ্রিল বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক করে বলেন তোমাদের নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন ভুল বশতঃ না হওয়ায় তোমরা এই বছর এসএসসি দিতে পারবে না। এসএসসি পরীক্ষার্থী রেজাউল করিম, জাহেদা খাতুন পরীক্ষা দিতে না পারায় অনাজা ঠিকানার উদ্দেশ্য বাড়িতে বেড়িয়ে গেছেন। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অনিয়ম করেই চলছে এবং দীর্ঘ ৮বছর থেকে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না করেই এডহক কমিটি দ্বারা নিজের ইচ্ছেমতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের নেই মঞ্জুরি এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সাথে চলছে প্রধান শিক্ষকের বিরোধ।

এসএসসি পরীক্ষার্থী রেজাউল করিম জানায়, প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অভিভাবক মো. ছামছুল আলম, দেলোয়ার হোসেন ও জাফর আলী জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি কাছে এসব পরীক্ষার্থী বিষয়ে যোগাযোগ করলেও তিনি কোন সদুত্তর দেননি। প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় আমাদের সন্তানদের স্বপ্ন শেষ।

সাপখাওয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি জানায়, করোনাকালীন সময়ে ক্লাস নাইনে রেজিষ্ট্রেশন থেকে ভুল বশতঃ এই তিন শিক্ষার্থীদের নাম বাদ পড়ে এবং তারা রেজিষ্ট্রেশন বাবদ কোন টাকাও দেই নাই। তাই তারা এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি।

নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানায়, নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক কে পত্র মাধ্যমে জবাব চাওয়া হয়েছে। অনিয়ম পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনও কে রিপোর্ট দেয়া হবে।

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ কামরুল ইসলাম জানায়, অভিভাবক দের উচিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা করা। বোর্ড থেকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content