বাংলাদেশ

কোরআনের আন্দোলনকে বিজয়ী করতে হবে : ডা. শফিকুর

ডেস্ক রিপোর্ট

১৫ মার্চ ২০২৪ , ৫:২১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলমান। অথচ তার আকিদা বিশ্বাসের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সীমাহীন ষড়যন্ত্র চলছে। একজন মুসলমানের পারিবারিক জীবন, সমাজের সঙ্গে তার ব্যবহার, মানুষের কল্যাণের জন্য সে কি ভূমিকা রাখবে বা আল্লাহ দায়িত্ব দিয়েছেন সেখান থেকে ভুলিয়ে রাখার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। এসব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে থানা মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সবুজ জমিনে কুরআনকে বিজয়ী করতে সব স্তরে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রচনা করতে হবে। আমাদের সংগঠনের চলার পথটি মোটেই সহজ ছিল না।

তিনি বলেন, জামায়াত আমাদের উদ্দেশ্য একটাই আল্লাহর দেওয়া কুরআনের বিধান অনুযায়ী একটি ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইবাদাতে বেশি বেশি আত্মনিয়োগ করতে হবে। এভাবেই আমরা আল্লাহর করুণা পেতে পারি আর আল্লাহ আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলেই কেবল আমাদের প্রকৃত সফলতা নিশ্চিত হবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সমগ্র বিশ্বের মালিক মহান আল্লাহ তা’য়ালা। আসমান জমিনের সমগ্র কর্তৃত্ব ও রাজত্ব একমাত্র তারই। সেই মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্যই আমাদের সকল কাজ আঞ্জাম দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সংগঠনের প্রতিটি কর্মীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে দুনিয়ার পরিবর্তন সাধন করার যোগ্যতা সম্পন্ন জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই আমাদের যাবতীয় কর্মতৎপরতা বজায় রাখতে হবে। এ দেশে কুরআনের আলোকে একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য উপস্থিত দায়িত্বশীলদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content