দেশজুড়ে

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান

ডেস্ক রিপোর্ট

৬ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:৫৮:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
নারী নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ বাড়ানো, নির্যাতনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সহিংসতার কারণ নির্ণয় করে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া এবং সরকার, গণমাধ্যমসহ নাগরিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজ চিন্তকরা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘নারীর জন্য বিনিয়োেগ, সহিংসতা প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি উত্থাপন করেন বক্তারা।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর-১০ ডিসেম্বর) উপলক্ষে সুন্দরগঞ্জ পৌরশহরের মৌন মুগ্ধ ট্রেনিং সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’র সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের (জিইউকে) প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রতিমা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মমিন মণ্ডল।

ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের ফিল্ড অফিসার (এফও) মোছা. ডলি সুলতানার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বেলকা মনিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালেমা আক্তার, উপজেলা ক্লাস্টার কন্সাল্টেটিভ গ্রুপের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার দেব সর্মা, জিইউকে প্রতিনিধি মো. শফিউজ্জামান, ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের ফিল্ড ফ্যাসিলিটিটর এবাদুল্লাহ মন্ডল, বিজলী রানী মহন্ত, ছামেলী বেগম প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, নারী নির্যাতন বলতে নারীদের ওপর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে কোনো ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনকে বোঝায়। নানা প্রেক্ষাপটে দিন দিনই বাড়ছে নারীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা। পরিবার, সমাজসহ কোনো স্তরেই রেহাই পাচ্ছেন না তারা। নারীর যে কোনো অধিকার খর্ব বা হরণ করা এবং কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বিষয় চাপিয়ে দেয়া বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছানুসারে কাজ করতে বাধ্য করাও নারী নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত। তবে শারীরিক ও যৌন নির্যতন যতটা গুরুত্ব পায় অনান্য বিষয়গুলো ততটা গুরুত্ব পায় না।

বক্তারা আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় সরকার নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে নির্যাতন প্রতিরোধের কাজ আরও জোরালো করতে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, ক্রাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content