দেশজুড়ে

পীরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে ১১দিন ধরে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন

ডেস্ক রিপোর্ট

২৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ১০:১৮:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

মো পারভেজ হাসান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বি,পি,বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদে ১১দিন ধরে সহকারী শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছেন।

এ বিষয়ে গত (১৫ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়টির ১৪ জন সহকারী শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়টির শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল ও অভিভাবক সদস্যদের না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৩ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে নিয়োগ দেন এই প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে ফুঁসে উঠে সহকারী শিক্ষকরা এর প্রতিবাদে ১১দিন ধরে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

এই ক্লাস বর্জন করায় ব্যাহত হচ্ছে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার মান। ক্লাস বর্জন সমস্যা নিরসন ও পুনরায় ক্লাস চালুর জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শিক্ষকরা জানান, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজ খেয়াল খুশি ভাবে বিদ্যালয়টি পরিচালিত করছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আলম। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ও সমন্বয় না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

এ দিকে বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন করার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বেশ অসুবিধায় মধ্যে পড়েছেন। তারা প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিত হলেও ক্লাস না হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। দ্রুত ক্লাস চালু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

স্বাক্ষর জাল ও অনিয়মের প্রতিবাদে ১৪ জন সহকারী শিক্ষক গত ১২ জানুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন শুরু করলে কোনরূপ প্রতিকার না পেয়ে ১৫ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কোন বিচার না পেয়ে বেশ হতাশায় ভুগছেন।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমনা, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রেদওয়ান ও সাদেক আলী জানান, শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন আমাদের ক্লাস হচ্ছেনা আমরা প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে বাড়িতে আসি। আমাদের ক্লাস না হওয়ায় লেখা পড়ার সমস্যা হচ্ছে।

আব্দুল মতিন, মালেক, আইয়ুব আলী সরকার সহ একাধিক শিক্ষক জানান,আমাদের স্বাক্ষর জাল করে গোপনে প্রধান শিক্ষক ৩জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন আমরা জানিনা। আমরা জানতে গেলে আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন প্রধান শিক্ষক আলম। আমরা তার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলম বলেন,আমার অনুমতি ছাড়া আপনার ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি আমার কিছু বলার নেই আপনার যা করার আপনি করতে পারেন।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আকতার বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছুটিতে আছেন তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content