দেশজুড়ে

প্রেমিকাকে হত্যা করে ছয়দিন পর থানায় আত্মসমপর্ণ করেছেন তরুণ

ডেস্ক রিপোর্ট

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:২৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর সদর উপজেলায় তরুণীর গলা কেটে হত্যার ছয় দিন পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ঘাতক তরুণ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তরুণের বাড়ির বাথরুম থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মণিপুর বাজার এলাকায়। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত তরুণী মারিয়া আক্তার ঝর্ণা (১৯)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ীর তালতলী এলাকার মুকুল হোসেনের মেয়ে।

আত্মসমর্পণকারী মিরাজ রহমান (২০) গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মণিপুর বাজার এলাকার মজিবুর রহমান ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মারিয়া আক্তার ঝর্ণা ও মিরাজ রহমান একই কলেজে পড়তেন। এ সূত্রে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঝর্ণার কিছু আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত ২৪ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ঝর্ণা। এরপর আর ফেরেননি। শনিবার দুপুরে মিরাজ রহমান থানায় হাজির হন। পুলিশ পরে মিরাজের ঘরের বাথরুম থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, মিরাজ রহমান থানায় এসে প্রেমিকাকে হত্যা করার কথা জানান। তিনি জানান, মারিয়া আক্তার ঝর্ণার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঝর্ণার মোবাইলে কিছু আপত্তিকর ছবি দেখতে পান তিনি। গত ২৪ ডিসেম্বর এসব ছবি নিয়ে ঝর্ণার সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। মিরাজ উত্তেজিত হয়ে ঝর্ণার গলায় ধারালো বটি দিয়ে কোপ দেন। এরপর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে বাথরুমে ফেলে রাখেন।

ওসি বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিরাজের দেখানো মতে ঘটনার ঝর্ণার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মিরাজকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঝর্ণার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content