খেলাধুলা

মার্তিনেজের দেখা না মেলায় জামালের কাছে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার আয়োজক

ঢাকায় এসে সাধারণ মানুষ তো দূর, বাংলাদেশের ফুটবলারদেরও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে থেকেও মার্তিনেজের দেখা পাননি বাংলাদেশ দলের ফুটবল অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।

বেঙ্গালুরু সাফে খেলে ৩ জুলাই দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেদিনই কয়েক ঘণ্টার বাংলাদেশ সফর শেষে কলকাতা যাচ্ছিলেন মার্তিনেজ। বিমান থেকে নেমেই মার্তিনেজের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের দেখা না পাওয়ায় হতাশ হতে হয়েছিল জামালকে। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষও।

জামাল যে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটা মার্তিনেজ জেনেছেন কলকাতা যাওয়ার পর। মার্তিনেজকে যিনি কলকাতা ও বাংলাদেশ সফর করিয়েছেন সেই উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকেও প্রশ্ন করতে করতে ছাড়েননি আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি গোলরক্ষক। বিষয়টি নিয়ে মার্তিনেজ-শতদ্রু দুজনেই ছিলেন বিব্রত।

জামালের মান ভাঙাতে তাই বিকল্প একটা ব্যবস্থা রেখেছিলেন মার্তিনেজ। ‘চিয়ার্স, জামাল’, লেখা নিজের অটোগ্রাফ সংবলিত একটি জার্সি বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য রেখে গেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। সেই জার্সি এখনো পাননি বলে জানালেন জামাল।

বেঙ্গালুরু সাফে সেমিফাইনালেই থেমেছে বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলতে না পারলেও জামাল ভূঁইয়াদের খেলায় তৃপ্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আজ ফেডারেশন ভবনে জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যাহ্নভোজের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। অনুষ্ঠান শেষে মার্তিনেজের জার্সি পেয়েছেন কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে জামাল বলেছেন, ‘শতদ্রু আমাকে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন, বলেছেন যা হয়েছে তার জন্য আন্তরিকভাবে তিনি দুঃখিত। কলকাতার সবাই আমার বিষয়টা জেনেছে। তারা এ নিয়ে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছে। মার্তিনেজ খুবই কষ্ট পেয়েছে আমার ঘটনায়। তাই আমার আর ছেত্রীর জন্য জার্সি পাঠিয়েছেন।’

মার্তিনেজের জার্সি তিনি এখনো পাননি বলে জানালেন জামাল। বলেছেন, ‘জার্সি এখনো কলকাতায় আছে। শতদ্রু বলেছেন পরবর্তী কোনো অনুষ্ঠান হলে তিনি আমায় আমন্ত্রণ জানাবেন। তখনই সেই জার্সি আমার হাতে তুলে দেওয়া হবে।’